পাঠক সমাবেশ
পাঠক সমাবেশ (Pathak Shamabesh) পাঠকদের নিজেদের মতো করে একটি দাড়াবার জায়গা। যে সকল বই চেতনাগত জাগরণ কোনো ভূমিকা রাখে না তা থেকে যতই মুনাফা আসুক সে-সব বই বাজারজাত ও প্রকাশনায় পাঠক সমাবেশ নিজেদের নিয়োজিত করবে না এমন একটা দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের যাত্রা শুরু।আমরা চাই পাঠক সত্যিকারের পাঠক। সে-পাঠক তৈরিতে আমরা ভূমিকা রাখতে চাই। দেশের ও দেশের বাইরে একটি বিশ্বমানের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও বইএর শোরুম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর শুরু ১৯৮৭ সালের ১২ জুলাই তারিখে। দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে ভিন্ন ধরনের বইয়ের উন্নত রুচি তৈরিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যেমন :
১. পাঠক তাঁর বইটি দোকানে এসে নেড়ে-চেড়ে পড়ে দেখে যেন কিনতে পারেন তার ব্যবস্থা করা।
২. প্রকাশনার ক্ষেত্রে দুষ্প্রাপ্য ও হারিয়ে যাওয়া পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণ করার স্বার্থে প্রকাশ করে যাওয়া।
৩. বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জনমত তৈরি করে ভালো বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, নবীন লেখকদের অনুপ্রাণিত করা। নাম না জানা লেখকদের বই যাদের কাজ অনেক ভালো প্রতিষ্ঠিত লেখকের থেকেও ভালো তাদের বই প্রকাশ করা।
৪. পাঠক সমাবেশ রিডার্সক্লাব নামে একটি কর্মসূচির মধ্যমে পাঠকদের আরো কাছে যাওয়ায় শুরু সেই ১৯৯৯ সন থেকে। অগ্রিম টাকা জমা রেখে বেশি ছাড়ে ও ঘরে বসে বই পাওয়ার সেতুবন্ধন সৃষ্টির জন্যই এই কর্মসূচি।
৫. শুধু ঢাকা শহরের কেন্দ্র বিন্দুতে সীমাবদ্ধ না থেকে আরো পাঠকের কাছে যাওয়ার জন্য এবং স্বল্পসময়ে তার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি জেলা শহরে একটি করে বই বিক্রয়ের শোরুম করার ইচ্ছা আছে।
৬. আমরা ভালো বই পড়তে, ভালো বই কিনতে সহজ করে ঘরে বসে বই পেতে ব্যাপক পরিকল্পনা নিতে চাই।
শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে ভালো সংগীত ও ভালো ছবি দেখার ব্যবস্থা করা অর্থাৎ পড়া, শোনা ও দেখা এই তিন মাধ্যমে মানুষের সংবেদনশীলতাকে উজ্জীবিত করে সমাজের উন্নয়নে মানুষে সচেতনতা জাগিয়ে রাখতে চাই।